পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের বড়গাবুয়া গ্রামে শান্তনা রাণী (২৭) নামের এক গৃহবধূ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। তবে গৃহবধূ শান্তনা রাণীর স্বজনরা এটি পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করছেন।
এ ঘটনায় গলাচিপা থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। পুলিশ ও স্বজনদের সূত্রে জানাগেছে, গলাচিপার গোলখালী ইউনিয়নের বড়গাবুয়া গ্রামের অনাথ মাঝির স্ত্রী শান্তনা রাণী রাতে ঘরের আড়ার (আড়াআড়ি কাঠ) সাথে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এসময় স্বামী অনাথ বাড়ির বাইরে ছিল বলে পুলিশকে জানায়। ঘরে এসে স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ দেখে স্বামী অনাথের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে আসে।
পরে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে সুরাতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। তবে শান্তনা রাণীর আত্মহত্যা নিয়ে ভিন্ন মত প্রকাশ করেন তার স্বজনরা। তাদের দাবি এটি আত্মহত্যা নয় পরিকল্পিত হত্যা। এর আগেও বিভিন্ন সময় শান্তনার স্বামী অনাথ মাঝি তাকে প্রায়ই নির্যাতন করতো। এ নিয়ে কোন ঝামেলা হতে পারে বলে জানান গৃহবধূর চাচাতো ভাই রনি কর্মকার।
রনি কর্মকার বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিব। এ প্রসঙ্গে গলাচিপা থানার এসআই মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সুরাত হাল রিপোর্ট শেষে লাশের ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত রহস্য উন্মোচন হবে। এ ঘটনায় গলাচিপা থানায় একটি ইউডি করা হয়েছে।’